ডা. আজাদ খান, ব্যুরো চিফ ময়মনসিংহ: শুক্রবার (১২ মে) সকালে জামালপুর জেলা কৃষক দলের আহবায়ক মাজেদুল ইসলাম ছাত্তার ও সদস্য সচিব সালেহীন মাসুদ মাষ্টারের নেতৃত্বে সরিষাবাড়ি উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের ০৮নং ওয়ার্ডের খোরশেদ আলমের ৩৫শতাংশ জমির ০৩টি ক্ষেতের ধান কাটা ও মাড়াই কাজে অংশগ্রহণ করেছেন সরিষাবাড়ি উপজেলা ও জামালপুর জেলা কৃষক দলের নেতা-কর্মীরা।
এসময় জামালপুর জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মাজেদুল ইসলাম ছাত্তার বলেন, এবার চলতি বোরো মৌসুমে ভালো ফলন হলেও বৈশ্বিক মন্দার কারন এবং ধান কাটা ও মাড়াই কাজে শ্রমিকের মজুরি অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রান্তিক কৃষকেরা আছেন বিপাকে, অর্থাভাবে শ্রমিকের মজুরীর সংস্হান করতে না পারায়, অনেক কৃষকের পাকা ধান কাটতে না পেরে এখনো ক্ষেতেই রেখেছেন। 
জামালপুর জেলায় অন্যান্য এলাকায় কৃষকের পাশে এভাবেই কৃষক দলের কার্যক্রম চলমান, তারই ধারাবাহিকতায় আজকে সরিষাবাড়িতে অভাবী কৃষক খোরশেদ আলমের ক্ষেতের ধান কাটা ও মাড়াই কাজের এ আয়োজন।
তিনিবলেন- আমরা কৃষকদল সবসময় এভাবেই পাশে থাকবো কৃষকের ক্রান্তিলগ্নে।
জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব সালেহীন মাসুদ মাষ্টার বলেন- সারাদেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফসলের ক্ষতির হাত থেকে কৃষকের ফসল রক্ষা করতে বরাবরের মতো এবারও কৃষকদল কৃষকের পাশে দাড়িয়েছে।
তারই ধারাবাহিকতায় আমরা জামালপুর জেলা ও সরিষাবাড়ি উপজেলার কৃষক দলের নেতা-কর্মীরা মিলে কৃষক খোরশেদ আলমের ধান কেটে এবং বাড়িতে নিয়ে মাড়াই করে দিয়েছি।
তিনি বলেন- শ্রমিকের মজুরী বেশি হওয়ায় সাধারণ কৃষকের অনেক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে এদিকে লক্ষ্য করে কৃষক দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ভবিষ্যতেও কৃষক দলের নেতা-কর্মীরা এভাবেই কৃষকের পাশে থাকবে।
এদিকে কৃষক খোরশেদ আলম  ধান কাটা ও মাড়াই কাজের এ উদ্যোগে সন্তোষ  প্রকাশ করে বলেন- আমি একজন অতি সাধারণ কৃষক মানুষ! অভাব, অসুস্থতা ও মজুরি দেয়ার মতো টাকা পয়সা আমার হাতে না থাকায় শ্রমিক নিতে পারছিলাম না! কৃষক দলের নেতা-কর্মীরা আমার যে উপকার করে দিলো,  আমি তাদের জন্য অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে দোয়া করি, এর উত্তম প্রতিদান যেনো আল্লাহ্ পাক তাদেরকে দেন। 
ধান কাটা ও মাড়াই কাজে অন্যন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন সরিষাবাড়ি উপজেলা কৃষক দলের আহবায়ক, মোঃ মজিদ, সিঃযুগ্ম আহবায়ক, আল আমীন শেখ, আবুল কাশেম, জাহিদুল ইসলাম তারা, আঃ রশিদ তারা সহ উপজেলা কৃষক দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।